আউটসোর্সিং ইন্সটিউট এর ফাউন্ডার জামাল স্যার উনার ব্যাক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে জানালেন যে তিনি যদি শিক্ষা মন্ত্রী হোন তাহলে কি কি করবেন৷
আমরা সরাসরি উনার ফেসবুক ওয়াল থেকে পোস্ট টি তুলে ধরলাম:
১. নৈতিক শিক্ষা নামে একটি সাবজেক্ট সকল ক্লাসে অন্তভুক্ত করব যেন শিক্ষিত দানব তৈরী না হয় । ন্যায় অন্যায় বোধ প্রবলভাবে সবার মধ্যে তৈরী করব ।
২. শিক্ষকদের বেতন এক লাখ টাকা করব । সকল স্তরের শিক্ষক রা প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তার চাইতে বেশী সেলারী পাবে যেন জাতির শ্রেষ্ট সন্তানরা শিক্ষকতা পেশাকেই বেছে নেয় । কথা হল মেধাবীরা যদি শিক্ষা না দেয় মেধাবী জাতি তৈরী হবে কিভাবে ?
৩. সরকারী বেসরকারী চাকরী করা কে নিরুৎসাহিত করে সবাইকে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করব । নতুন আইডিয়া লালন করব এবং উদ্যোক্তাদের সামাজিক মর্যাদা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করব ।
৪. সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষা বন্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র কর্মমূখী শিক্ষা চালু করব । পড়াশুনা শেষ করে একটা ছেলেও বেকার থাকবে না ।
৫. এডভান্সড লেভেল কম্পিউটার শিখা বাধ্যতামূলক করব ।
৬. প্রত্যেক ক্লাসে নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার কৌশল ও প্রসিডিউর সংক্রান্ত একটি সাবজেক্ট রাখব । ১ জন সফল উদ্যোক্তা = হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ।
৭. দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি কৃষি না বরং শিল্প এই বোধ ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে জাগ্রত করব । করণ যে পরিমাণ জমিনে এক মণ ফসল পাওয়া যায় সেই পরিমাণ জমিতে শিল্প গড়লে তার চাইতে হাজারগুণ আয় হবে, এক্সপোর্ট বাড়বে, ইকোনোমি সমৃদ্ধ হবে ।
৮. শিল্প করখাানার মালিক হওয়া, বড় ব্যাবসার মালিক হওয়া, বড় কিছু করার স্বপ্ন প্রত্যেক স্টূডেন্টদের মাথায় ঢুকিয়ে দিবে এবং সেগুলো লালন করব ।
৯. সামাজিক দায়িত্ব ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নামে দুটি সাবজেক্ট চালু করব যেগুলোতে প্রত্যেক স্টূডেন্ট সত্যিকারের ভাল ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে ।
১০. পরীক্ষা পদ্ধতি পুরোপুরে বাতিল করে প্র্যকটিক্যাল পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করব । যেমন -ব্যাসায় উদ্যোক্তা” সাবজেক্টের পাশের ভিত্তি হল তাকে একজন সত্যিকারের উদ্যোক্তা হয়ে দেখাতে হবে । মুখস্থ বিদ্যা সর্বস্থ নয় সত্যিকারের দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলব ।
১১. সহন শীলতা, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ শিখাব এবং ভিন্নমতে সম্মান প্রদর্শন করতে শিখাব ।
১২. সর্বোপরি স্টূডেন্টদের মাথায় ঢুকিয়ে দিব - তুমি শুধু নিজের বাড়ী গাড়ী করার জন্য পড়াশুনা করছ না - তোমার পড়াশুনার উদ্দেশ্য দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা । কারণ তুমি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যাই হও না কেন যেই বিষয়ে অনার্স মাষ্টার্স কর না কেন তা দেশের টাকায় । স্কূল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল খরচ সরকার বহন করে । আর সরকার মানে জনগণের ঘাম ও রক্ত মাখানো টাকা । দেশের মানুষ তোমাকে এই আশায় উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করছে যে একদিন তুমি তাদের জন্য কিছু করবে । দেশের সাধারণ মানুষ তোমার কাছ থেকে স্বার্থপরতা আশা করে না ।
আরো অনেক কথা বলার ছিল । কিন্তু লেখাটি অতিরিক্ত লম্বা হয়ে যাচ্ছে । যাহোক আমি শিক্ষামন্ত্রী হওয়া বা না হওয়াতে কিছুই যায় আসে না কিন্তু কামনা করি কেউ না কেউ অন্তর দিয়ে অনুধাবন করে মনের সমস্ত ভালবাসা থেকে সমগ্র দেশের শিক্ষার দায়িত্ব নিবে । সত্যিকারের শিক্ষিত ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ = সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট । ভালবাসা সবার জন্য ।
মো: জামাল উদ্দিন,
ফাউন্ডার
আউটসোর্সিং ইন্সটিউট ।
sylhet 24seven
0 Comments